সরকারি চাকরিতে আদিবাসীদেরজন্য কোটা বহালের দাবিতে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উদ্যোগে আজ ২৬ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সরকারি চাকরিতে আদিবাসীদের জন্য ৫% কোটা বহালের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঐক্যন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য্য, আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সভাপতি ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, ঠাকুরগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ইয়াসিন আলী এমপি,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, মানবাধিকার কর্মী ও আইইডির নির্বাহী পরিচালক নূমান আহম্মদ খান, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠনিক সম্পাদক বিমল চন্দ্র রাজোয়াড়, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও আদিবাসী যুব পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হরেন্দ্রনাথ সিং, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিভূতী ভূষণ মাহাতো, পাবনা জেলা সাধারণ সম্পাদক আশিক বানিয়াস, মানবাধিকার কর্মী ও কাপেং ফাউন্ডেশনের সদস্য সোহেল চন্দ্র হাজং, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নকুল পাহান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর শাখার সাবেক সভাপতি পরিমল মাহাতো, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষ মাহাতো, প্রমূখ।
লিখিত বক্তব্যে রবীন্দ্রনাথ সরেন বলেন- স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও আদিবাসীরা অধিকার বঞ্চিত, নির্যাতিত ও নিপীড়িত।দেশের আদিবাসীসহ, দলিত, প্রতিবন্ধী, চাশ্রমিক, ক্ষুদ্রপেশাজীবী জনগোষ্ঠীর মানুষ দেশের নানা দুর্গম অঞ্চলে বসবাসরত এবং অনগ্রসর ও পিছিয়ে পড়ে রয়েছে। এইবিশাল অংশকে পিছিয়ে রেখে দেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পিছিয়ে পড়া অংশকে এগিয়ে নিয়ে উন্নয়নের মূলধারায় যুক্ত করতে হবে। রাষ্ট্রের কার্যক্রমে আদিবাসীসহ, দলিত, প্রতিবন্ধী, চাশ্রমিক, ক্ষুদ্রপেশাজীবী জনগোষ্ঠীর মানুষের অংগ্রহণ নিশ্চিত করতে সরকারি সকল চাকরিতে বিদ্যমান ৫% কোটা ব্যবস্থা বহাল রাখতে হবে।
ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, আদিবাসীসহ, প্রতিবন্ধী, নারী, চা শ্রমিক, ক্ষুদ্র পেশাজীবী মানুষের জন্য শিক্ষাক্ষেত্রেও সরকারি চাকরিতে কোটা বহাল রাখতে হবে। আদিবাসীদের জন্য কোটা বহালের দাবি ন্যায্য দাবি। এটা বাতিলের কোন সুযোগ নেই। মন্ত্রী পরিষদ সচিবের বক্তব্য কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি শিক্ষা ও চাকরিতে আদিবাসীদেরজন্য কোটা বাতিল করা যাবে না বলে মন্তব্য করেন।
পঙ্কজ ভট্টচার্য্য বলেন, কোটা ব্যাবস্থা সাংবিধানিকভাবে সকলকে সমানতালে এগিয়ে নেওয়ার একটি ঐতিহাসিক ব্যবস্থা। আদিবাসীসহ, প্রতিবন্ধী, নারীরা যদি বিশেষ সুবিধা না পায় তাহলে কারা পাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সংবিধানে অনগ্রসর অংশের জন্য বিশেষ বিধানের কথা বলা রয়েছে। মন্ত্রী পরিষদ সচিব যে বক্তব্য দিয়েছেন- “আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি এখন আর কেউ পিছিয়ে নেই। সচিবের এই বক্তেব্যে ছিল ঔদ্ধ্যতা। আদিবাসীদের জন্য বিদ্যমান কোটা বহালের জোর দাবি জানিয়ে বলে ছাত্ররা কোটা সংস্কারের আন্দোলন করেছিল, কোটা বাতিলের নয়।
Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *